Thursday, April 16, 2015

Islam

নারী নির্যাতন বনাম ইসলাম।
ইসলাম ধর্মে নারীর সম্মান।
পুরো পোষ্ট টা পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।
আশা করি ফায়দা হবে ক্ষতি হবেনা।
.
.
আজ থেকে প্রায় মাস খানেক আগের কথা।
গিয়েছিলাম আমাদের এখান কার এক সরকারী হস্পিটাল এ
ওখানকার এক ডা. আঙ্কেল আছেন যিনি আমার পরিচিত।
গিয়েছিলাম অন্য এক কাজে কিছু জরুরী কথা বলতে।
দিন টি ছিলো রবিবার Maybe।
তো দেখলাম প্রচুর রোগী ভীর করে আছে।
তো আঙ্কেল আমাকে উনার রোম এ বসতে বললেন।
বসলাম কিছুক্ষন
আঙ্কেল আসতেছেনা তাই একটু হাটা হাটি ও করলাম।
একটু পর আঙ্কেল আসলেন।
এবার উনি বললেন আজ রোগীদের ভীর একটু বেশীই।
আমি বললাম হ্যা।
এর পর অল্প সময়ের মধ্যে আমার কথা বললাম
(যে জন্য গিযেছিলাম)
এর পর বললাম আঙ্কেল আমি কি আপনার রোগী দের একটু দেখতে পারি?
অল্প সময়?
উনি বললেন অবশ্যই।
এর পর গিয়ে বসলাম আঙ্কেল এর সাথে।
যা যা দেখলাম আল্লাহ মাফ করুক।
অধিকাংশ রোগী ই মহিলা আর অধিকাংশ মহিলাদের ই সেইম কেস।
কারো কোমোড়ে ব্যাথা
নাইলে কারো ঘাড়ে ব্যাথা
নাইলে কারো সারা শরীর এই ব্যাথা।
(all pain patein)
আর কারণ জিজ্ঞাসা করলে ও সেইম এন্সার।
তাদের স্বমী রা তাদের নির্মম ভাবে পশুত্যের মতো অত্যাচার করেছে যার ফলে তাদের আজ এই অবস্থা।
আমার সবচেয়ে বেশী খারাপ লেগেছে একটা মহিলা কে দেখে যার বয়স আনুমানিক ৩৫/৪০ হবে।
উনার কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে।
কারন জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন কিছুদিন আগে উনাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে সামান্য ঝগরা হয়।
আর ঝগরার এক পর্যায়ে তার স্বামী তাকে একটা লাথী মারে।
এর পর সে পাকার উপর পরে গিয়ে ব্যাথা পান।
ঐ সময় ব্যাথা টা অল্প ছিলো বুঝতে পারেন নি।
ব্যাথা নাশক ঔষধ খেয়ে ই চালিয়ে দেন তেমন একটা গুরুত্ত দেন নি।
(ভাই গুরুত্ত দিবেন ই বা কি করে? উনাদের তো আর আমাদের মত এমন টাকা পয়সা নাই যদি ১০ টা টাকা বাচাতে পারেন তাহলে পর দিন সন্তান স্কুলে যাওয়ার সময় চাইলে সন্তান কে টাকা টা দিতে পারবেন।)
এর কিছুদিন পর ব্যাথা শুধু বেরেই চলেছে এর পর হাস্পাতালে আসছেন।
ডা. টেস্ট দিছেন এর পর জানতে পারেন যে তার কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে।
আচ্ছা ভাই এ কেমন নির্মম নির্যাতন?
এরা মানুষ না পশু?
কোন মানুষ এভাবে কোন মানুষ কে মারে?
এটা কিভাবে সম্ভব?
যাইহোক এবার আসেন একটু যেনে নেই এই নারী নির্যাতন সম্পর্র্কে ইসলাম কি বলে?
ইসলামের দৃষ্টি কোণ থেকে এটা কতটুকু ভালো কাজ বা খারাপ কাজ।
একজন মুসলমান মুমিন হওয়ার জন্য এটা জরুরী যে তার দ্বারা অন্য আরেক মুসলমান যেন কোন ভাবে কষ্ট না পায়।
এ ব্যাপারে অগণিত হাদীস রয়েছে।
সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
তো ভাই আপনার স্ত্রী ও তো একজন মুসলীম নারী তাইনা?
সেই দিক থেকে আপনি তাকে মার ধর করতে পারেন না!
এটা মানেন তো! তাইনা না?
তো এবার আসেন আরেকটু বিস্তারিত ভাবে জানি ইসলাম কি বলে অপনাকে।
কেমন!
হ্যা ইসলাম নিজ স্ত্রী দের মারার অনুমতি দিয়েছে!
আরে ভাই দাড়ান দাড়ান এতো খুশী কেন?
স্ত্রী কে মারার বৈধতা পেয়েগেলেন বলে?
আরে ভাই ইসলাম সবার জন্য সমান!
তো এ ক্ষেত্রে ও ন্যায় বিচার ই করবে কোন বেশী কম করবেনা কোন পক্ষ ও টানবেনা!
ইসলাম স্ত্রী কে মার ধর করার জন্য একটা মিটার/মাপ কাঠি ও দিয়েছে।
আর সেই মাপ কাঠি টা এখন একটু মনযোগ দিয়ে দেখেন।
●স্ত্রী দের কখন মারা যাবে এবং তার শর্তাবলী কি কি?●
.
.
কয়েকটি কারণে স্ত্রী দের মারা ইসলাম সমর্থন করে।
অর্থাত্‍ জায়েয

কারণ গুলো নিচে বর্ননা করা হলো।
১, নামাজ না পড়লে।
২, পর্দা-পুশিদামত না চললে।
৩, ফরজ গোসল করতে বিলম্ব করলে।
৪, স্বামী সজ্জিত হয়ে থাকতে বলার পর ও সজ্জিত হয়ে না থাকলে।
উপরোল্লিখিত কারণে স্ত্রী দের মারা ইসলাম সমর্থণ করে।
হ্যা এবার ইসলাম এটা ও বলে দিয়েছে যে মারার নিয়ম টা কি হবে?
(আরে ভাই ইসলাম তো এক পূর্ণাঙগ জীবন বিধান)
●মারার জন্য নিয়মাবলী●
১, শরীরে কোথাও কোন স্পট পরতে পারবেনা,
ফেটে যাওয়া তো দূরের কথা।
২, গলার উপরী ভাগে মারতে পারবেনা।
(এটা কেবল স্ত্রী দের ক্ষেত্রেই নয় বরং নিজ সন্তান/ছাত্র কাউকেই না।)
কারণ এ অংশটি আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নিজ কুদরতী হাতের দ্বারা বানিয়েছেন।
আর এ প্রতিটি অঙ্গ ই অত্যন্ত জরুরী ও দামী এবং স্পর্শকাতর।
কিন্ত অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো যে আমরা কাউকে মারার সূচনা ই আমরা এই সব অঙ্গ দ্বারা করে থাকি।
(এ ব্যাপারে হাদীসে অনেক নিষেধ রয়েছে)
●এবার আসেন আরেকটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।●
●আপনার স্ত্রী ও কারো মেয়ে কারো বোন●
আপনার শরীরের রক্ত ঘাম ঝড়ানো টাকা পয়সা দিয়ে এবং আদর সোহাগে প্রতিপালিত আদরের দুলালীকে যদি তার স্বামী মেরে চেহারায় দাগ বানিয়ে ফেলে?
অথবা শরীর ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে?
অথবা আপনার বোন কে কেউ এ অবস্থা করে আর এ অবস্থায় যদি সে আপনার সামনে এসে দাড়ায়?
তাহলে ঐ সময় আপনার নিজের কেমন লাগবে?
খুব ভালো লাগবে সেই দৃশ্য টি দেখ্তে তাইনা??
আরে ভাই নিজের কালিজার টুকরা মেয়ে/বোন কে সে অবস্থায় দেখে যদি আপনার খারাপ লাগে তাহলে মনে রাখবেন আপনার স্ত্রী অর্থাত্‍ যাকে আপনি প্রতিনিয়ত নির্যাতন ককরছেন।
সে ও আপনার মতো কোন ভাই এর আদুরে বোন কারো আদরের দুলালী মেয়ে।
তো ভাই যাই করেন না কেন একটু ভেবে চিনতে কইরেন কেমন?
আল্লাহ তৌফিক দান করুন।
●সর্বোপরি সে আল্লাহর বান্দী●
যদিও পিতা-মাতা,ভাই-বোন কাছে না থাকার দরুন কেউ অমরা দেখতে পাইনা তারা কেমন আছে?
(আমাদের মেয়েরা/বোনেরা)
কিন্ত ভাই!
একটা কথা সর্বদা মনে রাখবেন আপনার আমার এবং সকলের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কিন্ত সবকিছুই দেখতেছেন।
আরে ভাই আমরা পিতা-মাতা,ভাই-বোন আর কতটুকু ভালোবাসি?
এর চেয়ে হাজারো লক্ষ গুন বেশী ভালোবাসেন তিনি(আল্লাহ)তার বান্দা,বান্দি দের।
আর তুমি এইটা কিভাবে মনে করলা যে তুমি তার এক অসহায় বান্দির উপর অত্যাচার করবা আর তিনি বাদশাহ এর বাদশাহ হয়ে তোমার মতো মফিজ কে ছেড়ে দিবেন?
এটা কিভাবে সম্ভব?
How man how?
কোন দিনও সেই চিন্তা মাথায় যেন ভুল করেও ন আসে।
অবশ্যই অবশ্যই তোমাকে তার প্রতিদানে (আইক্কা ওলা বাশ) খেতেই হবে।
●স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করলে আল্লাহর সুপারিশ●
আচ্ছা মনে করেন কোন সরকারী অফিসার
(চীফ অফ মিনিস্টার)
তার আদরের দূলালী কে আপনার হাতে তুলে দিলেন।
এবং
আপনাকে অত্যন্ত নম্র ভাবে বললেন যে
দেখ বাবা!
আমার মেয়ের মাঝে কিছুটা দুর্বলতা আছে,
কখনো সে যদি কোন ভুল করে ফেলে তাহলে তুমি তাকে ক্ষমার দৃষ্টি তে দেখিও।
আর যদি সাংসারীক জীবনে ঐ মেয়ে কোন ভুল করে তাহলে কি আপনি তাকে নির্দয়ের মতো মারবেন?
আমার মনে হয় না।
(আপনি পারলে তবেই তো মারবেন তাইনা?)
আপনি যদি তাকে মারতে যান তখন ই আপনার মনে পরে যাবে যে আমার শশুর আমাকে বিয়ের সময় কি বলেছিলো?
(তার মেয়ের মাঝে কিছু ভুল রয়েছে তা ক্ষমার দৃষ্টি তে দেখতে বলেছেন)
আর যদি আমি তার মেয়ের গায়ে হাত তুলি তাহলে আমাকে উনি ১৪ শিকের ভাত খাওয়াবেন এতে কোন সন্দেহ নাই।
আরে ভাই একজন সাধারণ মানুষ কে যদি এত ভয় পাও তাহলে তোমার আমার সৃষ্টিকর্তা তো তোমার আমার জন্মের আগেই স্বামী দের উদ্দেশ্য করে বলে রেখেছেন তার পবিত্র কোর-আন কারীম এর সূরা নিসা এর ১৯ নাম্বার আয়াতে
●(যে তোমরা তোমাদের স্ত্রী দের সাথে উত্তম আচরণ করো।
আর এতেই তোমদের কল্যাণ নিহিত রয়েছে..)●
আমি পরিপূর্ণ আয়াতের অর্থ করলামনা।
যতটুকু দরকার ছিলো ততটুকু করলাম।
তো ভাই আল্লাহ তায়ালা যেখানে নিজে বলতেছেন যে আমার বান্দি দের সাথে তোমরা উত্তম ব্যাবহার করো কারণ তারা দূর্বল।
(তো ভাই কিভাবে হাত তুলবেন তার বান্দির গায়ে?)
system টা আমাকে বলেন আমি ও try মারি....
আর হ্যা ভাই আর কতো লিখবো?
এতো লিখার প্রয়োজন মনে করিনা যতটুকু লিখছি তাই যথেষ্ট যদি কেউ আমল করতে চায়।
আর আমল করার ইচ্ছা না থাকলে লিখে পেজ উল্টাইয়া ফালাইলে ও কোন কাজ হবেনা।
লিখার আরো কিছু ছিলো বাট সময়/ইচ্ছা না থাকার করণে লিখতে পরলাম না।
আর হ্যা আমাদের মাঝে অনেক ভাই এমন আছেন যারা তাদের স্ত্রী দের উপর পৈশাচিক আচরণ করে থাকেন প্লিজ ভাই সে তো একটা মানুষ নাকি?
মানুষের মতো আচরণ কইরেন তাহলেই চলবে।
আল্লাহ আমাদের সবাই কে আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।

No comments:

Post a Comment