Friday, April 17, 2015

ভুতের গল্প - ৮

৮ বছরের শিশুর কাহিনী
৪ বছর বয়স থেকেই
মেয়েটি অস্বাভাবিক আচরন করতো ।
উপরের দিকে তাকিয়ে থাকতো, খিট
মিট
করত , অযথা হাসত কান্নাও করত, এমন
কি মাঝে মাঝে গলার
স্বরটি পরিবর্তন হয়ে যেত । বয়স
বাড়ছে কিন্তু এ সব আচরন পরিবর্তন
হচ্ছিল না । মাঝে মাঝে উধাও হয় ,
অনেক উঁচু গাছের মাথায়
বসে থাকা স্বাভাবিক হয়ে গেছে ।
মেয়েটির বাবা মা ভীষন চিন্তার
পড়ে গেছেন । অনেক
হুজুরকে ডেকেছেন , তাবিজ দিয়ে যায়
কিন্তু কোন পরিবর্তন হয় না ।
মানসিক ডাক্তারও দেখানো হল কোন
লাভ হয়না ।
ভয়ংকর কিছু একটা ঘটবে , গ্রামের
মানুষ অনুমান করছিল । তাই
হলোঃ বগুড়া মাদ্রাসা থেকে বড়
একজন হুজুরকে নিয়ে আসা হলো ।
একটি উঠানে মেয়েটাকে রাখা হল।
তার তিন হাত দূর
দিয়ে রেখা টানা হল , কি কি সব
এটা ওটা নিয়ে হুজুর বসলেন
ধ্যানে । কিছু সময় পর মেয়েটি গলার
স্বাভাবিক স্বর পরিবর্তন করে হুজুর
কে বললো এই তুই আমাকে চিনিস ?
আমাকে বিরক্ত করিস না । যা এখান
থেকে ভাল চাইলে।
নইলে কাউকে ছাড়বো না । এই হুজুর, তুই
যা জানিস আমি অনেক বেশি জানি ।
হুজুরঃ আমি তোর সঙ্গে কথা বলে সময়
নষ্ট করব না , তুই
চলে যা নইলে আমি অনেক কিছু
করতে বাধ্য হব।
মেয়েটিঃ তুই কি করবি আমার ?
কথাটি বলতেই হুজুর এক
মুষ্টি বালি নিয়ে মেয়েটার
দিকে ছুড়ে দিতেই সে চিত্কার
করে কাঁদতে শুরু করে দিল । একটু পড়
রেগে গিয়ে মেয়েটি বললো,
কাজটা ভাল করলি না । কথা শেষ
না হতে আমাকে মারলি,
আমি তোকে বাঁচতে দিবনা । হুজুর
বললেন আমি ও জানি কি করতে হয় ।
এই বলে ,
একটা লাঠি নিয়ে মাটিতে পেটাতে শুরু
করলেন । মেয়েটি চিত্কার
করে কাঁদতে লাগল । অনেক মানুষ
সেখানে দাড়িযে দেখছে ,
মেয়েটি মাটি থাপড়াচ্ছে ,
মেয়েটির পায়ে হাতে দাগ
উঠে যাচ্ছে । এক সময়
মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায় । হুজুর তখন
মেয়েটির মার সঙ্গে গল্প করছেন। কিছু
সময় পর হুজুর
ওরে বাবা গো মা গো বলে কাঁদতে শুরু
করে দিলেন ।
মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছেন।
মেয়ে টি তখন অজ্ঞান , হুজুর শুধু
চিত্কার করছেন । অন্য এক হুজুর এসে ,
পানি পড়ে এই হুজুরের
গায়ে দিলে হুজুর থেমে যান । হুজুর
কোন কথা না বলে চলে গেলেন।
সে রাতে মেয়েটি আবার
হারিয়ে গেলে ,
গ্রামবাসিরা খুঁজতে বের হয় ।
খুঁজতে খুঁজতে রাত ১১টা বেজে যায় ।
এক সময় সবাই শুনতে পায় কবরস্থান
থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসছে ।
সাত আট জন মানুষ
কবরস্থানে গেলে দেখতে পান অর্ধেক
ভাঙ্গা কবরের
মধ্যে মেয়েটি বসে আছে , কাফনের
ময়লা কাপড় গায়ে দিয়ে ।
এটা দেখে সবাই দৌড়
দিয়ে চলে আসে । এক জন তো সেন্স
হারিয়ে ফেলে । কি করা হবে ?
কি করা হবে এ নিয়ে যখন সবাই
চিন্তিত আর ভীত , ঠিক
সে মূহুর্তে একটি আগুনের কুন্ডলি কবর
থেকে বাহির হয়ে উপরে উঠে গেল ।
আরও বেশি ভয় পেয়ে গেল সবাই ।
কি সব অলৌকিক ঘটনা ঘটছে ? একটু পর
মেয়েটি বাড়িতে এসে পড়লো ।
মা কে বললো,
মেয়ে : তুই তো চাসনা তোর মেয়ের
সঙ্গে আমি থাকি তাই না ?
মা: তোর কি চাই বাবা বল ? আমি সব
দিয়ে দেব তবু তুই আমার
মেয়েকে ছেড়ে দে।
মেয়ে : ঠিক আছে, আমি চলে যাব ।
৪টা খাসি দিয়ে পোলাও
রান্না করে , মালতিপুকুর বট গাছের
নিচে গরীব মানুষ কে খাইয়ে দিস ।
যে দিন দিবি সে দিন থেকে তোর
মেয়ে মুক্ত । তাই করা হল, সত্য এটাই
মেয়েটি আর হারিয়ে যায় না । বিকৃত
আচরন করে না ।

No comments:

Post a Comment