ঘটনাটি কয়েক বছর আগের।
মেয়েটির নাম রিয়া(ছদ্মনাম)।রিয়া তখন প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।খুব সুন্দর ছিলো মেয়েটি।আমার বোনের খেলার সাথী ছিলো সে।আমাকে ভাইয়া ভাইয়া করে ডাকতো।সবাই আদর করতো তাকে।তবে আমরা কেও কখনো ভাবতেও পারিনি যে এরকম খারাপ কিছু ঘটতে পারে।
মেয়েটির নাম রিয়া(ছদ্মনাম)।রিয়া তখন প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।খুব সুন্দর ছিলো মেয়েটি।আমার বোনের খেলার সাথী ছিলো সে।আমাকে ভাইয়া ভাইয়া করে ডাকতো।সবাই আদর করতো তাকে।তবে আমরা কেও কখনো ভাবতেও পারিনি যে এরকম খারাপ কিছু ঘটতে পারে।
২০১১ সাল চলছিলো তখন।
আমি সেদিন পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম।আমাদের কলোনী গেটের সামনে নামতেই দেখি আব্বু দৌঁড়িয়ে আসছেন।এসেই বললেন,
-আসতে এতো দেরি কেনো?
তাঁর চেহারায় স্পষ্ট চিন্তার ছাপ দেখতে পেলাম।
>গাড়ি পাচ্ছিলামনা।আপনি এতো চিন্তিত কেনো?
-তুমি ঠিকঠাক মতো এসেছো,তাতেই খুশি
>কি হলো হঠাত্?
-রিয়া এক্সিডেন্ট করেছে।
কথাটা শুনার পর আমি যেনো একদম স্তব্ধ হয়ে যাই।নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছিলামনা।
আমি সেদিন পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম।আমাদের কলোনী গেটের সামনে নামতেই দেখি আব্বু দৌঁড়িয়ে আসছেন।এসেই বললেন,
-আসতে এতো দেরি কেনো?
তাঁর চেহারায় স্পষ্ট চিন্তার ছাপ দেখতে পেলাম।
>গাড়ি পাচ্ছিলামনা।আপনি এতো চিন্তিত কেনো?
-তুমি ঠিকঠাক মতো এসেছো,তাতেই খুশি
>কি হলো হঠাত্?
-রিয়া এক্সিডেন্ট করেছে।
কথাটা শুনার পর আমি যেনো একদম স্তব্ধ হয়ে যাই।নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছিলামনা।
হ্যাঁ,মেয়েটি সেদিন গাড়ি থেকে নেমে রাস্তা পেরুবার সময় তার মায়ের চোখের সামনেই নির্মমভাবে এক্সিডেন্ট করে।একটা CNG তার শরীরের উপর দিয়ে চলে যায়।সবাই বলছিলো এতো রক্তক্ষরন হয়েছে যে সে বাঁচবেনা।তাকে দ্রুত হাঁসপাতালে নেয়া হয়।
ঘটনাটা জানার পর আমি শুধু দোয়া করতে থাকি সে যেনো বেঁচে যায়।
ঘটনাটা জানার পর আমি শুধু দোয়া করতে থাকি সে যেনো বেঁচে যায়।
দুপুরে আমরা খেতে বসেছি।অমন সময় গাড়িতে করে মেয়েটির পরিবার আসে।কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে আমরা খাওয়া ছেড়েই দৌঁড়িয়ে যাই।গিয়ে শুনি মেয়েটি আর নেই।তার মা আর বড় ভাই চিত্কার করে কাঁদছিলো।তার মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।
কেনো জানিনা,আমি সেদিন কোনো আলৌকিক ঘটনার জন্য প্রার্থনা করতে থাকি।ভাবতে থাকি যদি মেয়েটি বেঁচে যায়,ডাক্তারের ভুলওতো হতে পারে।
যখন মেয়েটির লাশ আনা হয় তা দেখে আমি আর সহ্য করতে না পেরে কেঁদে ফেলি।সবাই কেঁদেছিলো সেদিন।
তার বাবাকে সবাই সান্তনা দিতে গিয়ে নিজেরাই কেঁদে ফেলে।আমাদের পুরো কলোনীটা যেনো একদম স্তব্ধ হয়ে যায়।
আমিও সেদিন মেয়েটির জায়গায় নিজের বোনকে কল্পনা করে কাঁদতে থাকি।
সবার মুখে শুধু একটাই কথা,তারা কল্পনাও করতে পারেনি এতো ছোটো একটা মেয়ে এতো নির্মমভাবে মারা যাবে।
হয়তো এরকম ভয়ংকর ঘটনা আর কখনোই দেখিনি।মেয়েটির হাত পা পুরোটাই থেঁতলে যায়।এই দৃশ্যটা বেশিক্ষণ সহ্য করতে না পেরে সেখান থেকে চলে আসি।
মেয়েটির বাবা সেদিন তার জন্যে নতুন জামাকাপড় কিনেছিলেন।অথচ মেয়েটির গায়ে নতুন কাপড়ের বদলে কাফনের কাপড় জুটলো।
তার মা বাবার কান্নার আর্তনাদে পুরো আকাশ বাতাস যেনো কম্পিত হতে লাগলো।
ভালোইতো গিয়েছিলো স্কুলে আর ফিরলো লাশ হয়ে।
সত্যিই আমার জীবনের স্মরণীয় আর দুঃসহনীয় ঘটনাগুলোর একটি এটি।
তারপর যতোবার তার আব্বু আমার বোনকে দেখেছেন ততোবারই তাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছেন।
এখনো সেই দৃশ্যগুলো চোখের নিচে ভাসে।
কেনো জানিনা,আমি সেদিন কোনো আলৌকিক ঘটনার জন্য প্রার্থনা করতে থাকি।ভাবতে থাকি যদি মেয়েটি বেঁচে যায়,ডাক্তারের ভুলওতো হতে পারে।
যখন মেয়েটির লাশ আনা হয় তা দেখে আমি আর সহ্য করতে না পেরে কেঁদে ফেলি।সবাই কেঁদেছিলো সেদিন।
তার বাবাকে সবাই সান্তনা দিতে গিয়ে নিজেরাই কেঁদে ফেলে।আমাদের পুরো কলোনীটা যেনো একদম স্তব্ধ হয়ে যায়।
আমিও সেদিন মেয়েটির জায়গায় নিজের বোনকে কল্পনা করে কাঁদতে থাকি।
সবার মুখে শুধু একটাই কথা,তারা কল্পনাও করতে পারেনি এতো ছোটো একটা মেয়ে এতো নির্মমভাবে মারা যাবে।
হয়তো এরকম ভয়ংকর ঘটনা আর কখনোই দেখিনি।মেয়েটির হাত পা পুরোটাই থেঁতলে যায়।এই দৃশ্যটা বেশিক্ষণ সহ্য করতে না পেরে সেখান থেকে চলে আসি।
মেয়েটির বাবা সেদিন তার জন্যে নতুন জামাকাপড় কিনেছিলেন।অথচ মেয়েটির গায়ে নতুন কাপড়ের বদলে কাফনের কাপড় জুটলো।
তার মা বাবার কান্নার আর্তনাদে পুরো আকাশ বাতাস যেনো কম্পিত হতে লাগলো।
ভালোইতো গিয়েছিলো স্কুলে আর ফিরলো লাশ হয়ে।
সত্যিই আমার জীবনের স্মরণীয় আর দুঃসহনীয় ঘটনাগুলোর একটি এটি।
তারপর যতোবার তার আব্বু আমার বোনকে দেখেছেন ততোবারই তাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছেন।
এখনো সেই দৃশ্যগুলো চোখের নিচে ভাসে।
সেদিন আমার আব্বু আর তার বাবা মাকে দেখে বুঝেছি মা বাবার কাছে তাঁর সন্তানের জীবনের মূল্য কতোটুকু।তাঁরা কতোইনা চিন্তা করেন আমাদের জন্যে।সত্যিই তাঁরা সব করতে পারেন আমাদের জন্য।
আমি যখন সেদিন দেরি করে ঘরে ফিরছিলাম সেদিন আব্বু আম্মুর চিন্তিত মুখটাই বলে দিয়েছিলো আমি আসলে তাদের জন্য কি।আর একটা মায়ের সামনে তাঁর সন্তানের এক্সিডেন্ট,সত্যিই খুবই বেদনার যা ভাষায় অপ্রকাশিত।
আমি যখন সেদিন দেরি করে ঘরে ফিরছিলাম সেদিন আব্বু আম্মুর চিন্তিত মুখটাই বলে দিয়েছিলো আমি আসলে তাদের জন্য কি।আর একটা মায়ের সামনে তাঁর সন্তানের এক্সিডেন্ট,সত্যিই খুবই বেদনার যা ভাষায় অপ্রকাশিত।
আমি কখোনও সেই লোমহর্ষক ঘটনাটি ভুলবোনা।
প্রার্থনা করি যেনো কারো সাথে এরকম না হয়।
বিশেষ করে গাড়ি চালকদের খুব সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানো উচিত্।নাহয় রিয়ার মতো অনেকেই অকালে ঝরে পড়বে আর অনেক মায়ের কোল খালি হয়ে যাবে।
প্রার্থনা করি যেনো কারো সাথে এরকম না হয়।
বিশেষ করে গাড়ি চালকদের খুব সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানো উচিত্।নাহয় রিয়ার মতো অনেকেই অকালে ঝরে পড়বে আর অনেক মায়ের কোল খালি হয়ে যাবে।
(ঘটনাটি আরো বড়।তবুও সংক্ষিপ্তাকারে ঘটনাটি লিখা হলো)
No comments:
Post a Comment