Friday, April 17, 2015

" সায়েনটিস্ট টাইম হিমেল"

বেশীদিন লাগলো না হিমেলের ইচ্ছে পূরন করতে । খুব সহজেই একটা টাইম মেশিন আবিষ্কার করে ফেললো । তবে এটা অন্যসব টাইম মেশিনের মত না । সম্পূর্ন আলাদা ।এটা দিয়ে সময়ের পথেও ভ্রমন করা যায় না অথবা অতীত ও ভবিষ্যত কিছুই দেখা যায় না । কিন্তু এটা দিয়ে যখন তখন সময় কে থামিয়ে দেয়া সম্ভব । এটাই এই টাইম মেশিনের কাজ । এটা বানানোর কাজ শুরু করেছিল হিমেল মাত্র ৬ মাস আগেই । সাথে ছিল ওর বাল্য বন্ধু রাফসান ।এই টাইম মেশিন বানানোর ঘটনা অনেকটা এরকম ........
হিমেল ছোটবেলা থেকেই অন্যদের থেকে অনেক মেধাবী ছেলে । ক্লাসে সবসময় ফার্স্ট বয় । আর সেকেন্ড বয় ছিল ওর সবথেকে ভালো বন্ধু রাফসান । দুজনে একসাথেই পড়ালেখা করেছে । দুজনেই খুব সহজেই চান্স্ পেয়েছিল বুয়েটে । বুয়েট হল বিশ্বের অন্যতম সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি । বিশ্বের এই সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় শূন্যের উপর অবস্থিত । তাদের মধ্যে বুয়েটের স্থান সবথেকে উচুঁতে ।হিমেল বুয়েটেও প্রথম হয় । তাই সেখানেও হিমেল খুব জনপ্রিয় । শুধু মানুষ নয় বুয়েটে পড়তে আসা অন্যান্য গ্রহ উপগ্রহের ছাত্রছাত্রীর কাছেও । বুয়েটে পড়া শেষে হিমেলকে বলা হয় ওকে সাতটা সৌড়জগতে ঘুড়তে নিয়ে যাওয়া হবে । সে চাইলে সাথে কাওকে নিয়েও যেতে পারবে ।হিমেল সাথে নেয় রাফসান কে ।
প্রথমেই ওদের কি নিয়ে যাওয়া হয় মিল্কিওয়ে থেকে মাত্র ৮ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের সৌড়জগত ANX-620 তে । সেখানকার এলিয়ান রা খুবই আজব । একেক জনের আচরন খুব অবাক করা । তাই বেশিদিন থাকলো না সেখানে । আসার আগে সেখানে একটি ট্রান্সমিউশন রেখে আসলো । যেটা ও প্ থিবীতে থাকা অবস্থায় তৈরি করেছিল । এই ট্রান্সমিউশন যেখানে রাখা হয় সেখানকার্ সব তথ্য ট্রান্সমিউশন সেন্টারে পাঠাতে সক্ষম । ট্রান্সমিউশনটির সাইজ ন্যানো ।আর ব্যাটারী অত্যন্ত শক্তিশালী । তাই অনেক দিন পর্যন্ত চলবে আর কেউ খুজেও পাবেনা ।
এরপর হিমেল যায় CUBX-R99 এ । সেখানকার তেমন কিছুই বিশেষ মনে হলো না হিমেলের কাছে । তবুও সেখানে একটি ট্রান্সমিউশন রেখে আসলো । এরপরের সৌরজগতটা ছিল sr-32 । সেখানে হিমেল দেখতে পায় গ্রাভিটি সম্পূর্ন উল্টো । এলিয়ানরা পা উপরে আর মাথে নীচে দিয়ে হাটে । এই সমস্যার সাথে হিমেল আর রাফসান খাপ খাইয়ে নিতে পারলো না । তাই তাড়াতাড়িই ওরা ওই সৌরজগত ত্যাগ করলো । ট্রান্সমিউশনটা রেখে আসতে কিন্তু ভুলে যায় নি ।
JRP-SX সৌরজগতে ওরা কোন জীবের অস্তিত্ব খুজে পায়নি । সম্পূর্ন সৌরজগতটি ছিল রোবট দ্বারা চালিত । সেই সুবাদে কোথাও কোন বিশ্ ঙ্খলাও ঘটে না । সম্পূর্ন সৌরজগতই একটি নির্দিষ্ট নিয়মের অধীনে চলে । সেখানে ও একটা ট্রান্সমিউশন রেখে আসে ।
WP-RE সৌরজগত টা সম্পূর্নভাবে পানির নীচে স্থাপিত । তাই হিমেলকে ও রাফসানকে অক্সিজেন ট্যাংক নিয়ে সৌরজগতটা ঘুড়ে দেখতে হয়েছে । সেখানে রাজপ্রসাদে ট্রান্সমিউশনটা ওরা রেখে আসে ।
MN+HB সৌড়জগতের সবাই দেখতে হুবহু মানুষের মত । কিন্তু তাদের বুদ্ধি নেই । তারা সবাই বোকা । তাই কিছুটা অবাক হয় হিমেল । ট্রান্সমিউশন টা স্থাপন করেই হিমেল চলে আসে মহাবিশ্বের সবথেকে বড় ও ধোনী সৌরজগত MTL-BA তে । সেখানকার ঘরবাড়ি সব ক্যালিফোর্নিয়াম ধাতুর তৈরি ।সেখান থেকে আসার সময় ৫ কেজি ইউরেনিয়াম নিয়ে আসে গবেষনার জন্য ।
প্ থিবীতে ফিরে আসার পর হিমেল ও রাফসান তাদের রেখে আসা ট্রান্সমিউশনগুলো নিয়ে গবেষনা শুরু করে । কোন সৌরজগতের তথ্যের সাথে কোন সৌরজগতেরই তথ্য মিলতো না । শুধু একটা বিষয়ে সবার তথ্য একই ছিল তাহল সময় । প্রত্যেকটিতে একই সাথে সেকেন্ড , মিনিট ও ঘন্টার কাটা ঘুড়তো । তারা চাইলেও সময়গুলোকে আলাদা করতে পারতো না । তারা অনেক গবেষনা করলো ।শেষে দেখলো যদি কোন সৌরজগতের সময় তারা থামিয়ে দিতে পারে তাহলে সাথে সাথে অন্যান্য সৌরজগতের সময়ও থেমে যাবে । ফর্মুলার ভিত্তিতে সব থেকে সহজভাবে সময় থামানো সম্ভব NAX-620 সৌরজগতের । তারা দেখলো যদি তারা ঘড়ির সময়ের ঘূর্নণের গতিটাকে কারো ভেতর বন্দি করতে পারে তাহলেই সাথে সাথে সময় থেমে যাবে । কয়েকদিনের মধ্যেই ওরা বানিয়ে ফেললো টাইম এবজোরভার মেশিন । এটা দিয়ে থামিয়ে দিল NAX-620 এর সময় । তাদের গবেষনা সফল হলো । তারা দেখলো আর কোনো সৌরজগতেরই সময় আগাচ্ছে না । কয়েকদিনের মধ্যেই ওরা পরিনত হয়ে গেল মহাবিশ্বের এক নম্বর সায়েনটিস্টে ।
রাফসানের ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির অভ্যাস ছিল । এই আবিষ্কারের পর রাফসান একটি বই লেখলো যার নাম দিল
" সায়েনটিস্ট টাইম হিমেল"

No comments:

Post a Comment