ঘটনাটা আমার খালাতো ভাই এর কাছ
থেকে শোনা।চাকুরী সূত্রে আমার
খালু
লতিফ বাওয়ানী জুট মিলের ডেমরার
স্টপ কোয়াটার বাসায় থাকতেন।তাই
রনি ভাইয়ার (আমার খালাত ভাই )
ছেলেবেলা কেটেছে ঐ
কোয়াটারে।
ভাইয়াদ ের বাসার একটু দূরে অন্য
এক কোয়াটারের ৪ তলার বাসাটায়
বেশিদিন কোন অফিসার থাকতেন
না।
তার কারন বাসাটার
নাকি সমস্যা আছে।
সমস্যা বলতে রাতে অনেক শব্দ হত
নাকি বাসাটায় আর বাসাটায়
১টা বাথরুম আছে যেখান
থেকে সবসময় দূর্গন্ধ
আসতো এবং শতবার পরিষ্কার
করলেও বাথরুম নোংরাই থাকতো।
তো দেখা যেতো কোন অফিসার ঐ
বাসায় উঠার ৩-৪ মাসের
মধ্যে বাসা ছেড়ে দিতো।তাই বছরের
বেশিরভাগ সময় বাসাটা ফাঁকাই
পড়ে থাকতো এবং কর্তৃপক্ষ
বাসা তালা দিয়ে রাখতো।
এই বাসা নিয়ে রনি ভাইয়া ও
কোয়াটারের অন্য বড় ভাইদের
জল্পনা কল্পনার শেষ ছিলো না,তাই
তারা সবাই মিলে ঠিক করলো একদিন
যাবে ঐ বাসার ভিতরে কিছু
আছে কিনা তাই দেখতে।
সবাই মিলে যেদিন ঐ বাসায়
যাবে বলে ঠিক করলো সেদিন কোন
১টা সমস্যার
কারণে রনি ভাইয়া যেতে পারলো না
রনি ভাইয়াকে রেখেই যাওয়া স্থির
হলো।
মোট ৬জন যাবে ঠিক হলো।যেহেতু
বাসাটা সবসময়
তালা মারা থাকে আর
বড়োরা জানতে পারলে রাগারাগি
সবার চোখ এড়িয়ে রাত ১২টার
যাবে ঠিক হলো।
সাথে লাঠি ছাড়া আর
কিছুই নেওয়া যাবে না আর
ওখানে যা-
ই ঘটুক না কেন চিৎকার
করা যাবে না এই
শর্তে যারা রাজি ছিলো তাদের
নিয়ে রাত ১২-৩০টায় ঐ বাসার
নিচে জড়ো হলো তারা।
হিমেল আর রুবেল ভাই থাকবে সবার
সামনে আর বাকীরা পিছনে।
সিঁড়ি দিয়ে উঠে ৪তলায়
পৌছে গেলো সবাই।জং ধরা দরজার
কড়াটা খুলতে বেশিক্ষণ
লাগলো না তাদের।তারপর
নিঃশব্দে ভিতরে ঢুকলো একে একে সব
বাসাটায় মোট ৪টা রুম
আর ১টাই মাত্র
বারান্দা যাকে করিডরও বলা যায়
কারণ বাসার সব গুলো রুম
থেকে বারান্দায় যাওয়ার
দরজা রয়েছে।যে রুমটায় ঐ আলোচিত
বাথরুমটি ছিলো সে রুমটা ছিলো সর্বশ
তো সবাই মিলে একে একে সব রুম
সার্চ করলো কিন্তু কোথাও কিছু
দেখতে পেলো না বা অলৌকিক কিছু
ঘটলোও না।সবাই মোটামুটি সতর্ক
ছিলো কিছু ঘটবে এই আশায়।কিছুই
যখন ঘটলো না তখন তারা আর সময়
নষ্ট না করে চলে যাবে ঠিক
করলো তখনি বেশ জোরে সবশেষের
রুমের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে পরার
শব্দ শোনা গেলো।ভাইয়ারা সবাই
মোটামুটি ভয় পেলেন কারণ
তারা মাত্রই ঐরুম সার্চ
করে এসেছেন এবং কিছুই
ছিলো না ঘরে।সবাই
তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হওয়ার
জন্য মূল দরজায়
আসলো তখনি সশব্দে সবশেষের রুমের
দরজাটা বন্ধ হয়ে গেলো।
ভাইয়ারা আর
দেরি না করে বাসা থেকে বের
হয়ে গেলেন।
কিভাবে জানলার কাঁচ ভাঙলো আর
কিভাবে দরজা বন্ধ
হলো তা নিয়ে কেউ আর
গবেষনা করলেন না।
রনি ভাইয়া যখন শুনলো এই
ঘটনা তখন সে ঐ বাসায়
যাবে বলে ঠিক করলো।পূর্বের ঘটনার
কারণে প্রথমে কেউ-ই
যেতে রাজি হচ্ছিলো না কিন্তু
পরে ৩জন রাজি হলো যেতে।
রনি ভাইয়া আর ঐ ৩জন মিলে আগের
মতই রাত পৌনে ১টায় একদিন
ঢুকলো ঐ বাসায়।
৪জনে আবার আগের মতই সব রুম
সার্চ করে সবশেষের রুমে ঢোকার পর
রুমের মধ্যে ঠান্ডা বাতাস
বয়ে গেলো।
ঘরের সবগুলো জানালা ও দরজা বন্ধ
ছিলো তাহলে বাতাস আসলো কোন
রাস্তা দিয়ে?।ভয় পেলেও ৪জন কোন
কথা না বলে দরজা খুলে বারান্দায়
গেলো।
দরজাটা তখন বিকট আওয়াজ
তুলে বন্ধ হয়ে গেলো।ভাইয়ারা তখন
বারান্দা ধরে সামনের রুমের
দিকে এগোতে লাগলো।হঠাৎ ভাইয়ার
১
বন্ধু ভাইয়াকে ইশারা করলো কিছু
দেখতে।এই মুহুর্তে ভাইয়ারা যে রুমের
দরজার
সামনে দাড়ানো সেদিকে তাকাতে
দেখতে পেলো দরজার নবটা কোন
কারণ ছাড়াই ঘুরছে কিন্তু দরজার
ওপাশে তো কেউ নাই।।
আর
অপেক্ষা না করে বাসা থেকে বের
হয়ে গেলো তারা এবং অবশেষে তার
স্বীকার করলো কিছু একটা রয়েছে ঐ
বাসায় কারণ প্রথমে ভাইয়ারা কেউ-ই
এটা মেনে নিতে রাজি ছিলো না।।
No comments:
Post a Comment