Friday, April 17, 2015

ভুতের গল্প - ১৭

বড় কানওয়ালা সেই
প্রাণীটি
সকলে প্রথমেই আমার
আন্তরিক শুভেচ্ছা নিবেন ৷ আমি ভূত
প্রেতের
কাহিনী তেমন একটা বিশ্বাস করতাম
না যদি না আমার বাবা তার
জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা আমাদের
না বলতেন ৷আমাদের বাড়ি হবিগঞ্জ
শহরে অবস্থিত ৷
তো মূল ঘটনায় আসি ৷ সালটা সম্ভবত ১৯৮৫

আমার বাবা তখন বাস চালাতেন ৷
একবার
বাবা গাড়ি নিযে হবিগঞ্জ
থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তে যান ৷ কোন
এক
কারনে ওনাকে গাড়ি নিয়ে হবিগঞ্জে ফিরে আসার
দরকার হল ৷ বলে রাখি হবিগঞ্জ
এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পাশাপাশি ৷
তাই
বড়জোর ২,৫০ ঘন্টা লাগে এক
জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে ৷
তার
উপর তখন রাত ১২ টা বাজে৷
তবে রাতটা ছিল
পূর্ণিমার রাত ৷তো তিনি এবং গাড়ির
হেলপার
কে নিয়ে তিনি গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন

শায়েস্তাগঞ্জ পর্যন্ত ভালভাবেই
আসছিলেন ৷
কিন্তু শায়েস্তাগঞ্জের কলিমনগর নামক
স্থানে আসা মাত্রই ঘটল ঘটনাটা ৷
তিনি সেই
জায়গায় আসার পর গাড়ির হেডলাইটের
আলোয়
দেখতে পেলেন রাস্তায়
আড়াআড়ি ভাবে মানুষের মত কিছু
একটা শুয়ে আছে ৷ তিনি বুঝতে পারলেন
জিনিসটা আসলে কি ৷ তখন তিনি তার
হেলপার কে বললেন কিছু
দেখতে পেয়েছে কিনা? হেলপার বলল
সেও
ওইটাকে দেখতে পেয়েছে ৷ তখন
তিনি হেলপারকে বললেন
কি করা যায়? হেলপার বলল গাড়ি ওটার
ওপর
দিয়ে চালিয়ে নিতে ৷
বাবা রাজি হয়ে গেলেন ৷ তখন
তিনি গাড়ির
স্পিড বাড়িয়ে দিলেন এবং কথামত ৷
শেষে তিনি যখন লুকিং গ্লাসের
দিকে তাকালেন
এবং দেখতে পেলেন সেই
প্রাণী টিকে ৷ সেটার
শরীরটা অনেকটাই মানুষের মত
তবে মুখটা লম্বাটে কুকুরের মত
এবং কানটা একেবারে কোমর পর্যন্ত
নেমে এসেছে ৷ এই প্রাণীটা গাড়ির
পেছন
পেছন দৌড়ে আসছে ৷
এটা দেখে বাবা গাড়ির
গতি বাড়িয়ে দিলেন ৷ শেষে যখন
পাইকপাড়া নামক
স্থানে এসে পৌছলেন তখন আর
সেটিকে দেখতে পেলেন না ৷ তার পর
আর
তেমন কোন
সমস্যা হয়নি শহরে এসে পৌছতে ৷
পাঠকগণ বিশ্বাস অবিশ্বাস আপনার
কাছে ৷
তবে এখনও গভীর রাতের দিকে হবিগঞ্জ
শহরের
দিকে আসার সময় একই স্থানে অনেকেই
অতিপ্রাকৃতিক বস্তু দেখতে পান
এবং প্রতি বছর
একই স্থানে একটা না একটা সড়ক
দূর্ঘটনা ঘটে ৷

No comments:

Post a Comment