ভয়ংকর আত্মহত্যা
--- --
১১ ই জুলাই ২০০৭ সালের একটি ঘটনা।
বিকেল
তিনটা জগন্নাথগঞ্জ থেকে
ময়মনসিংহ
গামী দ্রুতবেগে ছুটে চলেছে একটি
লোকাল
ট্রেন।আর
ট্রেনের চালকের আসনে বসা ছিল
অভিজ্ঞ
ড্রাইভার
আবদুল মতিন।শহরের কাশর এলাকায়
আসার
পরে তিনি লক্ষ্য করেন দূরে রেল
লাইনের উপর
কিছু
লোক দাড়িয়ে আছে।তিনি তখন
জোরে জোরে ট্রেনের
ভেপু বাজালেন।কিন্তু লোক গুলো
লাইনের
উপর
থেকে সরছে না।ট্রেন থামানোর
আপ্রাণ
চেষ্টা করলেন
আবদুল মতিন।কিন্তু ট্রেনটি যখন
থেমেছে ততক্ষনে ট্রেনের চাকায়
থেঁতলে গেছে নয়জন
মানুষ।আর ট্রেনের চালক আবদুল মতিন
ট্রেন
থেকে নেমে জ্ঞান হারিয়ে
ফেলেন।এই ঘটনার
পরে হতভম্ব হয়ে যায় এলাকার মানুষ।
কারণ
নিহত সবাই
একই পরিবারের সদস্য।অস্বাভাবিক এই
ঘটনার
নেপথ্যে ওই পরিবারের রহস্যঘেরা
জীবন-
যাপনের ইঙ্গিত
দিয়েছে এলাকাবাসী।স্থানীয়
পুলিশ জানায়
নিহতরা সবাই
স্থানীয় কাশর এলাকার মরহুম আদম
ফকিরের
পরিবারের
সদস্য।আদম ফকির এক সময়
মসজিদে গিয়ে পাঁছ ওয়াক্ত
নামজ পড়তো।কিন্তু হঠাত্ করে তিনি
ঘর
থেকে বের
হওয়া বন্ধ করে দিলেন।আদম ফকির
মারা গেলে এলাকার
মানুষ তাকে দাফন করতে চায় কিন্তু
তার
পরিবার
এতে বাঁধা দেয়।যার ফলে এলাকা
বাসির
সাথেতাদের
জটিলতা সৃষ্টি হয়।এই ঘটনার পর
থেকে আদম
ফকিরের
পরিবারের লোকজন তেমন একটা আর
ঘর
থেকে বের
হতো না।
আত্মহত্যার পরে ঘটনা অনুসন্ধান
করতে পুলিশ তাদের
বাড়িতে যায়।বাড়িতে গিয়ে দেখে
বাড়িটি বেশ
সাঁজানো গোছানো এবং বাড়ির এক
পাশে কিছু কবর
খুড়া আছে।পুলিশ ঘরের ভেতর থেকে ৪
টি ডায়রি ও
একটি চিরকোট উদ্ধার করে।
ডায়েরি গুলোতে পরিবারের
সবার নাম
ক্রমিকভাবে লেখা আছে এবং
সেগুলো ইংরেজি আর
বাংলা লেখা।একটি ডায়েরিতে
লেখা ছিল
"আমরা হলাম
পৃথিবীতে একমাত্র স্বাধীন ও
আত্মনির্ভশীল
পরিবার।
আমরা মোহাম্মদ সহ সকল ধর্মের
আইনের
বাহিরে।"
অন্য একটি ডায়রিতে পরিবারের
কর্তা জয়
আনোয়ার
আদম লিখেছে "আমাদের পিতা আদম
প্রতি রাতেই
আমাদের সাথে দেখা করতে আসেন।
তিনি আমাদের আদম
ধর্ম পালন করতে বলেন।"
আর চিরকোটে লেখা ছিল
"পৃথিবীতে ধর্ম
বলতে কিছু
নাই,আদম হলো সত্য,আর আমরা সবাই
আদম।
এই ঘটনার কয়েক বছর কেটে গেলে ও
আজো এর রহস্য
উদ্ধার হয়নি।মনো বিজ্ঞানীদের
ধারণা পরিবারের
সবাই
আউটনী হ্যালুসিনেন আক্রান্ত হতে
পারে।
এটা এমন
একটা রোগ যা একজনের চিন্তা এক
সাথে থাকা একাদিক
ব্যাক্তির মাঝে প্রবাহিত হয়।তাদের
চিন্তা-
চেতনা এক
হয়ে যায়।তারা গায়েবী আওয়াজ
শুনতে পায়।
তাদের
কাছে মনে হয় কেও যেন তাদের
নির্দেশ
করছে আত্মহত্যা করার জন্য।এত বড়
আত্মহত্যার
ঘটনা আমাদের দেশে প্রথম হলে ও
বিশ্বে এই
রকম
ঘটনা অনেক ঘটেছে।১৯৭৮ সালে ১৮
নভেম্বর
জিম
জোসন নামের একজন ধর্ম যাজক তার
৯০৯
জন ভক্ত
নিয়ে আত্মহত্যা করে।এটা হলো
পৃথিবীর
বৃহত্তম
আত্মহত্যার ঘটনা।প্রথমে তারা সবাই
একটি বাড়ির
ছাদের
উপর মিলিত হয়।তারপরে সবাই এক
সাথে বিষ
খেয়ে আত্মহত্যা করে।আত্মহত্যার
পরে পুলিশ তাদের
লেখা কিছু ডায়রি উদ্ধার করে।আর
সেগুলোর
মধ্যে একটিতে লেখা ছিল "এই
পৃথিবী নষ্ট আর
খারাপের
দখলে চলে গেছে।তাই আমরা এই
পৃথিবী ছেড়ে এমন এক
গ্রহে চলে যাচ্ছি যেখানে থাকবে
শুধু সুখ আর
শান্তি।
--- --
১১ ই জুলাই ২০০৭ সালের একটি ঘটনা।
বিকেল
তিনটা জগন্নাথগঞ্জ থেকে
ময়মনসিংহ
গামী দ্রুতবেগে ছুটে চলেছে একটি
লোকাল
ট্রেন।আর
ট্রেনের চালকের আসনে বসা ছিল
অভিজ্ঞ
ড্রাইভার
আবদুল মতিন।শহরের কাশর এলাকায়
আসার
পরে তিনি লক্ষ্য করেন দূরে রেল
লাইনের উপর
কিছু
লোক দাড়িয়ে আছে।তিনি তখন
জোরে জোরে ট্রেনের
ভেপু বাজালেন।কিন্তু লোক গুলো
লাইনের
উপর
থেকে সরছে না।ট্রেন থামানোর
আপ্রাণ
চেষ্টা করলেন
আবদুল মতিন।কিন্তু ট্রেনটি যখন
থেমেছে ততক্ষনে ট্রেনের চাকায়
থেঁতলে গেছে নয়জন
মানুষ।আর ট্রেনের চালক আবদুল মতিন
ট্রেন
থেকে নেমে জ্ঞান হারিয়ে
ফেলেন।এই ঘটনার
পরে হতভম্ব হয়ে যায় এলাকার মানুষ।
কারণ
নিহত সবাই
একই পরিবারের সদস্য।অস্বাভাবিক এই
ঘটনার
নেপথ্যে ওই পরিবারের রহস্যঘেরা
জীবন-
যাপনের ইঙ্গিত
দিয়েছে এলাকাবাসী।স্থানীয়
পুলিশ জানায়
নিহতরা সবাই
স্থানীয় কাশর এলাকার মরহুম আদম
ফকিরের
পরিবারের
সদস্য।আদম ফকির এক সময়
মসজিদে গিয়ে পাঁছ ওয়াক্ত
নামজ পড়তো।কিন্তু হঠাত্ করে তিনি
ঘর
থেকে বের
হওয়া বন্ধ করে দিলেন।আদম ফকির
মারা গেলে এলাকার
মানুষ তাকে দাফন করতে চায় কিন্তু
তার
পরিবার
এতে বাঁধা দেয়।যার ফলে এলাকা
বাসির
সাথেতাদের
জটিলতা সৃষ্টি হয়।এই ঘটনার পর
থেকে আদম
ফকিরের
পরিবারের লোকজন তেমন একটা আর
ঘর
থেকে বের
হতো না।
আত্মহত্যার পরে ঘটনা অনুসন্ধান
করতে পুলিশ তাদের
বাড়িতে যায়।বাড়িতে গিয়ে দেখে
বাড়িটি বেশ
সাঁজানো গোছানো এবং বাড়ির এক
পাশে কিছু কবর
খুড়া আছে।পুলিশ ঘরের ভেতর থেকে ৪
টি ডায়রি ও
একটি চিরকোট উদ্ধার করে।
ডায়েরি গুলোতে পরিবারের
সবার নাম
ক্রমিকভাবে লেখা আছে এবং
সেগুলো ইংরেজি আর
বাংলা লেখা।একটি ডায়েরিতে
লেখা ছিল
"আমরা হলাম
পৃথিবীতে একমাত্র স্বাধীন ও
আত্মনির্ভশীল
পরিবার।
আমরা মোহাম্মদ সহ সকল ধর্মের
আইনের
বাহিরে।"
অন্য একটি ডায়রিতে পরিবারের
কর্তা জয়
আনোয়ার
আদম লিখেছে "আমাদের পিতা আদম
প্রতি রাতেই
আমাদের সাথে দেখা করতে আসেন।
তিনি আমাদের আদম
ধর্ম পালন করতে বলেন।"
আর চিরকোটে লেখা ছিল
"পৃথিবীতে ধর্ম
বলতে কিছু
নাই,আদম হলো সত্য,আর আমরা সবাই
আদম।
এই ঘটনার কয়েক বছর কেটে গেলে ও
আজো এর রহস্য
উদ্ধার হয়নি।মনো বিজ্ঞানীদের
ধারণা পরিবারের
সবাই
আউটনী হ্যালুসিনেন আক্রান্ত হতে
পারে।
এটা এমন
একটা রোগ যা একজনের চিন্তা এক
সাথে থাকা একাদিক
ব্যাক্তির মাঝে প্রবাহিত হয়।তাদের
চিন্তা-
চেতনা এক
হয়ে যায়।তারা গায়েবী আওয়াজ
শুনতে পায়।
তাদের
কাছে মনে হয় কেও যেন তাদের
নির্দেশ
করছে আত্মহত্যা করার জন্য।এত বড়
আত্মহত্যার
ঘটনা আমাদের দেশে প্রথম হলে ও
বিশ্বে এই
রকম
ঘটনা অনেক ঘটেছে।১৯৭৮ সালে ১৮
নভেম্বর
জিম
জোসন নামের একজন ধর্ম যাজক তার
৯০৯
জন ভক্ত
নিয়ে আত্মহত্যা করে।এটা হলো
পৃথিবীর
বৃহত্তম
আত্মহত্যার ঘটনা।প্রথমে তারা সবাই
একটি বাড়ির
ছাদের
উপর মিলিত হয়।তারপরে সবাই এক
সাথে বিষ
খেয়ে আত্মহত্যা করে।আত্মহত্যার
পরে পুলিশ তাদের
লেখা কিছু ডায়রি উদ্ধার করে।আর
সেগুলোর
মধ্যে একটিতে লেখা ছিল "এই
পৃথিবী নষ্ট আর
খারাপের
দখলে চলে গেছে।তাই আমরা এই
পৃথিবী ছেড়ে এমন এক
গ্রহে চলে যাচ্ছি যেখানে থাকবে
শুধু সুখ আর
শান্তি।
No comments:
Post a Comment